রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৭:৩২ অপরাহ্ন
সাথীভাই নিউজ ডেস্কঃ কোকাকোলা মাদরাসা রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান ইত্তেফাক মহাসচিবের ঢাকার গুলশান-বসুন্ধরা অঞ্চলে অবস্থিত মঈনুল ইসলাম মাদরাসায় (কোকাকোলা মাদরাসা) ৭ জুন রবিবার ভোরে সাদপন্থীদের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইত্তেফাকুল মুসলিমীন বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, গত রবিবার (৭ জুুন ২০২০) ভোরে সাদপন্থীদের অতর্কিত এক সন্ত্রাসী হামলায় ১০ জন ছাত্র-শিক্ষক আহত হয়। এবং তাদের ও মাদরাসার অনেক জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা তাদেরকে মাদরাসা থেকে বের করে দিলে পুলিশী হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং সাধারণ ছাত্র শিক্ষকদেরকে মাদরাসায় ফিরিয়ে আনা হয়। গতকাল সোমবার (৮ জুন ২০২০) ইত্তেফাকুল মুসলিমীন বাংলাদেশ এর মহাসচিব মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহইয়া বলেন, দীর্ঘদিন যাবত সুষ্ঠুভাবে চলে আসা মাদরাসাটি শত শত ছাত্র-শিক্ষকে মুখরিত ছিল। কিন্তু গত বেশকিছু দিন যাবত সাদপন্থীদের উৎপাত ও হুমকির দরুণ আজ প্রতিষ্ঠানটির ধ্বংসের মুখে। বেফাক ও উলামাদের পরামর্শ ও সমন্বয়ে মাদরাসাটি যখন আবারো তার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছিলো, তখনি সাদপন্থী এতাতীরা আবারো সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা করেছে। বিবৃতিতে তিনি ছাত্র-শিক্ষকদের উপর হামলাকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদেরকে অবিলন্বে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকার ও প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান। আর না হয়, সাদের বিরুদ্ধে যেমন এ দেশের আলেম-উলামা ফুসেঁ উঠেছিল, এবারও এতাআতী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আপামর কওমী ছাত্র-শিক্ষক গর্জে উঠবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। পাশাপাশি মাদ্রাসা রক্ষায় সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান, নতুবা এই দীনী প্রতিষ্ঠানটি তার ঐতিহ্য হারিয়ে একটি ভ্রান্ত আকিদার কেন্দ্র হিসাবে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আতাউর রহমানের ইন্তেকালে এই পদটি শূন্য হয় এবং ওলামায়ে কেরাম ও এলাকাবাসীর অনুরোধে এখন মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দীর্ঘকালীন নায়েবে মুহতামিম মাওলানা আতাউল্লাহ, শিক্ষা সচিব মাওলানা সলিমুল্লাহ। মাদ্রাসার সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আল্লামা মাহমুদুল হাসান, হাফেজ মাওলানা আহমদ উল্লাহ পটিয়া ও মাওলানা মাহফুজুল হক। প্রধান মুফতি ও শায়খুল হাদিস মুফতি গোলাম রহমান খুলনা। মুহাদ্দিস হিসেবে আছেন মুফতি যোবায়ের গনী ও মুফতি উবায়দুল্লাহ শাকিরসহ প্রবীণ ও নবীন উলামায়ে কেরাম।
Leave a Reply